আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে দেশটিতে ছয় দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের স্থানীয় পত্রিকা ডন জানায়, প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আরো নিহতের খবর আসতে পারে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবং নিহতদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পাকতিকা প্রদেশে।দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আইয়ুবি বলেন, ভূমিকম্পে ৯৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬১০ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাকতিকা প্রদেশে স্ট্রেচারে করে আহত মানুষকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ এবং বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ।স্থানীয় বাখতার নিউজ এজেন্সি জানায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে হেলিকপ্টারে করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
সরকারের মুখপাত্র বিলাল কারিমি টুইটারে জানান, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে গতরাতে আফগানিস্তানের চারটি প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এতে কয়েক শ’ মানুষ হতাহত হয়েছেন। এবং অনেক বসতবাড়ি ধসে গেছে।তালেবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান মোহাম্মদ নাসিম হাক্কানি বলেছেন রয়টার্সকে জানান, নিহতের বেশিরভাগ পাকতিকা প্রদেশের। সেখানে কমপক্ষে এক শ’জন নিহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দুরে।আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোস্তে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৯৯ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আর নানগারহারে মারা গেছেন পাঁচজন।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তানে ভূমিকম্প হয়েছে। তবে সেখানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, আফগানিস্তানের কাবুল ও পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।আল-জাজিরা থেকে আলি লতিফি কাবুল থেকে জানান, সেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতাধিক বাড়িঘর ধসে গেছে। সেখানে হেলিকপ্টারে করে সহায়তার জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সেখানে সাহায্য পাঠানো কঠিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।