বেশ কয়েকশ’ বছর পর কমতে চলেছে বিশ্বের জনসংখ্যা। তবে তা স্থায়ী হবে হাতে গোনা কয়েক দশকের জন্যই। আন্তর্জাতিক জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটির বরাতে এ খবর দিয়েছে কানাডাভিত্তিক গণমাধ্যম ন্যাশনাল পোস্ট।
প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭৮০ কোটির মতো। ২০৬৪ সালে শিখর ছোঁবে এই পরিসংখ্যান। ৪৩ বছর পর জনসংখ্যা বেড়ে হবে ৯৭০ কোটি।
কিন্তু, তারপর থেকে ধীরে ধীরে উল্টা পথে হাঁটা শুরু হবে। কয়েক দশকের মধ্যে একধাক্কায় অনেকটাই কমবে জনসংখ্যা। ২১০০ সালে তা হবে ৮৮০ কোটি। অর্থাৎ চার দশকে জনসংখ্যা কমবে ৯০ কোটির মতো।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক তথা ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর অধ্যাপক স্টেইন ইমিল ভলসেটের কথায়, ১৪ শতকে মহামারীর আকার ধারণ করেছিল প্লেগ। তার জেরে সেই সময় জনসংখ্যা কমেছিল।
তারপর বিগত কয়েক শতকে এর নজির নেই। কিন্তু একুশ শতকে জনসংখ্যা কমার পিছনে মহামারী দায়ী নয়। সচেতনতা ও শিক্ষাই কমাবে মানুষের মিছিল।
স্টেইন বলেন, অনেকেই বলছেন মহামারী বা দুর্ভিক্ষের ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হবে। তাতেই কমবে জনসংখ্যা। কিন্তু, আমাদের পূর্বাভাস সঠিক হলে, এর কোনোটির জন্যই জনসংখ্যা কমবে না।
প্রকৃত প্রভাব ফেলবে নিম্নমুখী জন্মহার। তার জেরেই কমবে সার্বিক পরিসংখ্যান। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রথমত, জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতির উন্নতি। দ্বিতীয়ত, নারী শিক্ষার উন্নয়ন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।