ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিসা করোনাভাইরাসের এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন বাতিল করেছে। বাতিলকৃত সব টিকাই চীনের সিনোভ্যাক বায়োএনটেকের তৈরি। টিকাগুলো বাতিল হওয়ার পেছনে আনভিসার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ব্রাজিল সরকারের অনুমোদিত কারখানা থেকে টিকাগুলো উৎপাদন করা হয়েছিল।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) আনভিসা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে সতর্কতা জারি করে। দেশটির সাও পাওলোর বুটানটানের একটি বায়োমেডিকেল সেন্টার সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে টিকা উৎপাদন করছিল। ব্রাজিল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। উৎপাদিত ওই কারখানা থেকে এক কোটি ২০ লাখের বেশি টিকা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি আনভিসা কর্তৃক অনুমোদিত ছিল না। জনগণের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কারখানাটির উৎপাদন প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্রাজিলে ২১ হাজার ৮০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আর মারা যান ৬৯২ জন।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ১ মার্চ থেকে দেড় কোটিরও বেশি ডোজ করোনার টিকা ফেলে দেওয়া গেছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, চারটি জাতীয় ফার্মেসি প্রত্যেকে ১০ লাখের বেশি ডোজ নষ্ট করেছে। ওয়ালগ্রিন ফার্মেসি সবচেয়ে বেশি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডোজ নষ্ট করেছে। এরপরে সিভিএস ২০ লাখ ৩০ হাজার, ওয়ালমার্ট ১০ লাখ ৬০ হাজার ও রাইট এইড ১০ লাখ এক হাজার ডোজ নষ্ট করেছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু টিকাগুলো কেন ফেলে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র যখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত তখন বিপুলসংখ্যক টিকা ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অনেক দেশ এখনো ঠিকমতো টিকাই পাচ্ছে না। আবার অনেক দেশ টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে, অনেক দেশ এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।