পশ্চিমা সৈন্য-নাগরিক ও আফগান সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপক তোড়জোড়ের মধ্যে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় বিস্ফোরণের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টুইটে তিনি বলেছেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা নিশ্চিত করছি। তবে এখনো হতাহতের বিষয়ে জানতে পারিনি। আমরা জানতে পারলেই বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের বিষয়টি এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে।
তবে বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, আমাদের কাছে ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর হতাহতের কোনও রেকর্ড নেই। এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসআইএস-কে) আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
আইএসআইএস-কের হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে, কাবুল বিমানবন্দর থেকে একটি ইতালিয়ান সামরিক বিমান টেকঅফ করার পরপরই এটিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। তবে ঘটনায় বিমানটির কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতালিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এসব জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইটে ভ্রমণকারী একজন ইতালীয় সাংবাদিক স্কাই ২৪ টিজিকে জানান, বিমানটিতে প্রায় ১০০ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক ছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি গুলির মুখে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।