প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ১০:৫৭
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে একটি বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন সম্প্রতি প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউরোপে শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের আকর্ষণ করতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ইউরোপকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা। ভন ডার লেইন বলেন, "বিজ্ঞান কেবলমাত্র একটি খাত নয়; এটি একটি বিনিয়োগ, যা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।" তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের জিডিপির ৩% বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এই তহবিলের মাধ্যমে ইউরোপীয় গবেষণা কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং শীর্ষ গবেষকদের জন্য 'সুপার গ্রান্ট' প্রদান করা হবে। এছাড়াও, ইউরোপে বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বাধীনতা রক্ষা এবং বৈচিত্র্যকে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি মূল উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এই পদক্ষেপটি এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (DEI) সম্পর্কিত গবেষণায় সরকারি তহবিল হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে অনেক মার্কিন গবেষক ইউরোপে গবেষণার সুযোগ খুঁজছেন। ইউরোপ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রতিভা আকর্ষণের জন্য এই তহবিল গঠন করেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "ইউরোপ বৈজ্ঞানিক প্রতিভার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমরা বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানাই এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় স্বাধীনতা রক্ষা করি।"
এই তহবিলের মাধ্যমে ইউরোপে গবেষণার জন্য بيرোক্র্যাটিক জটিলতা হ্রাস করা হবে এবং বিজ্ঞান ও ব্যবসার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। এটি ইউরোপকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইউরোপ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একটি নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে, যা বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের জন্য একটি মাইলফলক হতে পারে।