চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর পাশবিক নির্যাতনে মৃত্যু হয় ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর। ব্যাপক রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিকৃত যৌনাচারের ভয়ঙ্কর উপাদান ব্যবহার করায় এই পরিণতি হয় বলে খবরে জানা যায়।
‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজকে গেল ৪ আগস্ট রাতে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে মাদকসহ বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রাজের বাসার ভেতরে একটি গোপন কক্ষ থেকে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এই কক্ষটিতে পর্নোগ্রাফি তৈরি করা হতো বলেও ধারণা করা হচ্ছে। পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ দুই ঘটনার পর ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে বিকৃত যৌনাচার ও পর্নোগ্রাফি তৈরির এসব উপাদান। সামাজিকমাধ্যম থেকে শুরু করে ই-কমার্স সাইট ও অ্যাপে প্রকাশ্যে এসব উপাদান বিক্রি হলেও এগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে নামে-বেনামে বিকৃত যৌনাচার ও পর্নোগ্রাফির এসব মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান বিক্রি হচ্ছে। অনলাইন অর্ডার দিলেই বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে এসব মালামাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উপাদান বিক্রির মাধ্যমে আমাদের তরুণ সমাজকে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বহুজাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। বিকৃত যৌনাচার ও পর্নোগ্রাফি তৈরির এসব উপাদান বিক্রি করতে দারাজ মেয়েদেরকে পরিবার থেকে দূরে থাকারও প্ররোচনা দিচ্ছে। পরিবার থেকে দূরে থেকে একাকীত্ব দূর করতে বেশি বেশি যৌনতার আশ্রয় নিতে প্ররোচনা দিয়ে পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে দারাজে।
দারাজের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি সেক্স টয় হিসেবে আর কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ভিন্ন নামে পর্নোগ্রাফির উপাদান বিক্রি করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।