প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৫৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের একজন করে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৭৯২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৬ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ডেঙ্গু মৌসুম চলাকালীন সময়ে সতর্কতা অবলম্বন না করলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লালা, জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরের ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, ঘরে পানি জমে থাকা এবং মশার প্রজনন হওয়া স্থানগুলো পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরি ব্যবস্থা জোরদার করেছে। বিশেষ করে ঢাকায় হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানা এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকার বাইরের জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে।
জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সঠিক চিকিৎসা নেওয়াই ডেঙ্গু মোকাবিলার মূল চাবিকাঠি।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ঘরে ও আশেপাশে মশার প্রজনন বন্ধ রাখতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধক মশার ফাঁদ ব্যবহার করতে এবং নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। নাগরিকদের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।