বাংলাদেশের সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস.এম. মাসুদুল হক। মঙ্গলবার শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি জানান, শিক্ষকদের ছয় দফা দাবির সঙ্গে একমত হয়ে সরকার ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে এবং জাতীয়করণ প্রক্রিয়া দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫১৯টি অনুদানভুক্ত প্রাথমিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য মাদ্রাসাগুলোও পর্যায়ক্রমে একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয়করণ করা হবে। জাতীয়করণের পাশাপাশি একাডেমিক স্বীকৃতি বন্ধ থাকার যে সমস্যাটি রয়েছে, তা আগামী জুন মাস থেকেই সমাধান করা হবে।
মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া ২০২৫ সাল থেকেই শুরু হবে বলেও জানান এস.এম. মাসুদুল হক। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের দাবি পূরণে আন্তরিক এবং দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এর ফলে দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ পাবে এবং শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয়করণ ছাড়াও তাদের অন্যান্য দাবি যেমন- বেতন বৈষম্য দূর করা, চাকরি স্থায়ীকরণ, এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান নিয়ে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে। এসব উদ্যোগ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জাতীয়করণের মাধ্যমে এসব মাদ্রাসা সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবে, যা শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
এস.এম. মাসুদুল হক আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকার শুধু মাদ্রাসা জাতীয়করণের উদ্যোগই নয়, বরং শিক্ষকদের উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের উপরও জোর দিচ্ছে। এর ফলে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।
এ সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই উদ্যোগ দ্রুত কার্যকর হবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। শিক্ষকরা সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এ সিদ্ধান্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের এই পরিকল্পনা শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করবে। এটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।