গণটিকা কর্মসূচির তৃতীয় ও শেষ দিনেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। কোনো জটিলতা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। এ গণটিকা ক্যাম্পেইনে ব্যাপক সাড়া দেওয়ায় দেশে টিকাগ্রহীতা ছাড়িয়েছে প্রায় সোয়া ১২ কোটি।
লক্ষ্য উপযুক্ত সব মানুষের কোভিড প্রতিষেধক নিশ্চিত করা। নিয়মিত টিকাদানের বাইরেও তাই চলছে বিশেষ কর্মসূচি গণটিকা ক্যাম্পেইন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি টিকা প্রত্যাশীদের। তবে আগের দুই দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম।
এতদিন যারা নানা কারণে প্রথম ডোজ নিতে পারেননি বিশেষ এ কর্মসূচিতে তারা আসেন টিকা নিতে। মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উপস্থিতিই বেশি গণটিকা ক্যাম্পেইনে।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মসনদ নেই তারাও টিকা নিতে পারছেন তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের মাধ্যমে। কোনো ধরনের ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে স্বস্তির ছাপ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বিশেষ এ মহাযজ্ঞে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়ায় প্রথম দিনে সব ডোজ মিলে ১ কোটি ২০ লাখ, আর দ্বিতীয় দিনে প্রয়োগ হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টিকা। আর দেশে এ পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছেন সোয়া ১২ কোটির বেশি মানুষ বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে গতবছর ২৭ জানুয়ারি এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু হয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি। প্রথম দিনে পরীক্ষামূলকভাবে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি গণভাবে সারা দেশে মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।