বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতের ভূপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তারা আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এই প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে ভারত সরকার, যার ফলে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন।
প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত একদল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ভূপালে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যাচে কর্মকর্তারা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা একবার বলেছিলেন, বিচারকদের দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, ভারতের প্রতিটি রাজ্যে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে এবং ভূপালের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দুই দেশের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার দক্ষতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।