ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ২৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এ আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গ্রাহক তাহসানুল ইসলাম আল আমিন ২০২১ সালের ২৭ মার্চ থেকে ৫ জুনের মধ্যে দুটি মোটরসাইকেল, একটি স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন পণ্য কেনার জন্য ইভ্যালিকে ২ লাখ ২০ হাজার ৯৮৫ টাকা পরিশোধ করেন। তবে, ওই টাকার বিনিময়ে গ্রাহককে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ইভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয়, কিন্তু সেটি দিয়ে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারেননি। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি টাকা ফেরতের জন্য যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনার পর, ২৫ জানুয়ারি বাদী আদালতে মামলা করেন।
অভিযোগের তথ্যানুযায়ী, ইভ্যালি গ্রাহকদের কয়েকশ কোটি টাকার পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিক্রেতাদের অর্থও পরিশোধ করতে পারেনি। এর ফলে, অসংখ্য গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন।
এই ঘটনাটি দেশের ই-কমার্স খাতের জন্য একটি বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। ইভ্যালির উপর থেকে আস্থা হারাতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের মধ্যে একটি আশা সৃষ্টি হয়েছে যে, তাদের অর্থ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এদিকে, মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আদালতের নির্দেশনা অপেক্ষা করছে। গ্রাহকরা এই মামলার ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং তারা আশা করছেন যে, বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের হারানো অর্থ ফিরে পেতে পারবেন।
ইভ্যালির এই পরিস্থিতি দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে, ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।