ঝালকাঠি ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে আল্টাসোনগ্রাম ও ডেঙ্গু পরিক্ষা করানো বন্ধ থাকায় অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে ডেঙ্গু টেষ্ট করে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রুগী তবে টাঙানো হচ্ছে না মশারী ঝুঁকিতে রয়েছে রুগীদের সাথে থাকা স্বজনরা।
শনিবার রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ভর্তিরত সকল রুগী মশারী ছাড়া বেডে সুয়ে আছে। মশারী বেডের পাশে থাকলেও টাঙানো নেই। এতে ঝুঁকিতে থাকতে হয় রুগীদের সাথে আশা ও থাকা আত্মীয় স্বজনদের।
কৃষ্ণকাঠি এলাকা থেকে আশা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রুগী ইমরান বলেন, এখানে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু পরিক্ষা দেয়। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিক্ষা বন্ধ থাকায় সাউথ ভেঙ্গল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ৩০০টাকা দিয়ে ডেঙ্গু পরিক্ষা করিয়ে ডাক্তারকে দেখালে ডেঙ্গু পজেটিব আসে হাসপাতালে ভর্তি দেন।
শেখের হাট থেকে আশা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রুগী মেহেদীর বড় ভাই বাপ্পি বলেন, এখানে পরিক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ থাকায় বাহিরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এনএস ওয়ান, আইসিসি আইজিয়াম পরিক্ষা ৭০০টায় করাই। হাসপাতালে পরীক্ষা করালে আমাদের খরচ কম হতো।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ডাক্তার না থাকায় ও রুগীর চাপ বেশি থাকায় ১০দিনের মতো আল্টাসোনগ্রাম করানো সম্ভব হচ্ছে না এবং ডেঙ্গু পরিক্ষা কিট না থাকায় ১ সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে আল্টাসোনগ্রাম ২০০টাকা এবং ডেঙ্গু পরিক্ষা ৫০টাকা করে নেওয়া হতো।
এছারা নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ যুগেরও বেশি বন্ধ রয়েছে অপারেশন। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইসিজি।
ঝালকাঠি মেডিকেল অফিসার আরএম ও ডাক্তার মো. মেহেদী হাসান ছানি বলেন, কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরিক্ষা বন্ধ। রুগীর চাপ বেশি থাকায় এবং ডাক্তার কম থাকায় আল্টাসোনগ্রাম পরিক্ষা বন্ধ রয়েছে। রুগীদের সচেতনতার জন্য বার বার মশারী টাঙানোর জন্য বলা হলেও মানছে না তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।