বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন বরিশালের সাংবাদিকেরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে সব সাংবাদিক সংগঠনের সহযোগিতায় সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের বরিশালের সভাপতি হুমায়ুন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আলম ফরিদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ, বরিশাল ইলেকট্রনিক্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ, বরিশাল ইলেকট্রনিক্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সুমন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান রাহাত খান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বরিশালের সভাপতি এম আর প্রিন্স, বরিশাল টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দ সাহা, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সম্পাদক মুশফিক সৌরভ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল শাখার সভাপতি ফারুক লিটু।
কবি, লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশ ও মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল ২৪ টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা, জাগো নিউজের বরিশাল প্রধান শাওন খান, চ্যানেল আই এর বরিশাল প্রতিনিধি সাঈদ পান্থ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার আল আমিন জুয়েল, নিউজ এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদার, দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক তন্ময় নাথ, বিজয় টিভির বরিশাল প্রতিনিধি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারহীনতার কারণে গোলাম রাব্বানী নাদিমের মতো প্রথিতযশা সাংবাদিককে প্রাণ দিতে হলো। নাদিমের অপরাধ তিনি ক্ষমতাসীন দলের এক চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করেছেন। এজন্য তাকে দুই দফায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর চেষ্টা করেও সফল না হয়ে শেষ পর্যন্ত চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলো চেয়ারম্যানের লোকজন। আমরা সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস নয়, কার্যকর পদক্ষেপ চাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাদিমের সকল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।
বক্তারা বলেন, আমরা তো জামালপুরের পুলিশের আচরণে হতবাক। যেখানে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও ঘটনার সকল আলামতে চেয়ারম্যান বাবুর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেখানে এই পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হোক, সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার ওসির ও জামালপুরের এসপির প্রত্যাহার চাই।
বক্তারা বলেন, শহরের মানুষের নিরাপত্তা দিতে সেখানকার পুলিশ যে পারছে না, তার বড় প্রমাণ- এক জায়গায় এতগুলো লোক জড়ো হয়ে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা।
বক্তারা বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের মতো এ ঘটনার তদন্ত ও বিচারকাজ বিলম্বিত হোক, তা আমরা চাচ্ছি না। আমরা চাই, নাদিম হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক সেইসঙ্গে অপরাধীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক। আমরা নাদিম খুন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল থেকে প্রথম কর্মসূচি শুরু করেছি, তাই মনে রাখতে হবে, এ ঘটনার বিচার না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এবার নাদিম হত্যার সুষ্ঠু বিচার পেয়েই ঘরে ফিরব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।