ঈদুল আযহায় যে গ্রামে পশু কোরবানি দেয়া হয়না

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ১৭ই জুন ২০২৪ ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
ঈদুল আযহায় যে গ্রামে পশু কোরবানি দেয়া হয়না

নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ মাঠে এ পীরের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন


শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের শাহ্ সুরেশ্বরী পীরের অনুসারীরা কোনো পশু কোরবানি ছাড়াই ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার (১৬ জুন) ঈদ উদযাপন করেন।


শাহ্ সুরেশ্বরী পীরের অনুসারী মুসলমানেরা ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিনে পালন করেন। তারা ঈদুল আজহার অন্যান্য বিধান পালন করলেও পশু কোরবানি দেন না।


রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ও ১০টায় তাদের জেলার ঈদের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ মাঠে। নামাজ শেষে ভুনা খিচুড়ি, সেমাইসহ মিষ্টি খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন করেন।


সুরেশ্বরী দরবার শরীফের সূত্র জানায়, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের অন্তত ৩০ গ্রামের শাহ্ সুরেশ্বরীর অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। এই অনুসারীরা পশু কোরবানি দেন না।


দরবার শরীফের গদীনশীন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নিজের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানি করাই প্রকৃত কোরবানি। পশু কোরবানি প্রকৃত কোরবানি নয়। নিজের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানিই আমাদের লক্ষ্য।’


দরবার শরীফের প্রধান গদীনশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরী বলেন, ‘বাবা সুরেশ্বরী নিয়ম রেখে গেছেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকি। তবে আমরা পশু কোরবানি দেয় না।’