সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব এয়ার কন্ডিশনার এবং নন-সিএফসি ইনহেলার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনার সময় পরিবেশের সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এ লক্ষ্যে স্যামসাং নতুন ধরনের রেসিডেন্সিয়াল এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে।
স্যামসাংয়ের নতুন এয়ার কন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎ খরচ এবং নির্গমন কমাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এগুলোতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য উন্নত ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা কুলিং ক্ষমতা কমিয়ে না এনে বিদ্যুতের অপচয় হ্রাস করে। এসব এসিতে পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে, যা ওজোন স্তর এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না।
অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের সুবিধা, যা বিদ্যুৎ অপচয় কমায়। উন্নত ইনসুলেশন প্রযুক্তি এবং কম্প্রেসরের ব্যবহারে স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটরগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এদের তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং পরিবেশবান্ধব গ্যাস দিয়ে তৈরি হয়েছে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “আমরা পরিবেশের সুরক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের পণ্যগুলোর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ‘পরিবেশের সাথে কোন আপোস নয়’ এই নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের নতুন রেফ্রিজারেটর ও রেসিডেন্সিয়াল এয়ার কন্ডিশনারগুলো পরিবেশের ওপর প্রভাব কমিয়ে এনে ওজোন স্তর রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
এভাবে স্যামসাং তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পণ্য সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।