জামালপুরে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
শাওন মোল্লা , জেলা প্রতিনিধি- জামালপুর
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৩ই মার্চ ২০২৫ ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
জামালপুরে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৬

জামালপুরে ইফতার বিতরণের সময় প্যাকেট কম পড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় জামালপুর শহরের খেজুরতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাইক্রোবাস শ্রমিক নেতা জকিউল হাসান সাবুর স্মরণে তার পরিবার দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করে। তবে ইফতার কম পড়ে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে মাইক্রোবাস চালকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে মারামারিতে রূপ নেয়।  


সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারণ করলে হামলাকারীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি রিয়াদ, দৈনিক দেশ সংবাদের সাংবাদিক সালাউদ্দিন মিঠু, মর্নিং পোস্ট জেলা প্রতিনিধি ও ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সানজিদুল আকন্দ মাশফিক মারধরের শিকার হন। হামলাকারীরা তাদের তিনটি মোবাইল ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।  


এ সংঘর্ষে আরও তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন জামালপুর পৌর শহরের তেতুলিয়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম আশেক ও তার ছোট ভাই জিহান এবং মুসলিমাবাদ এলাকার শুভ। সবাইকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  


ঘটনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও হামলার শিকার সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। হামলাকারীরা পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের মারধর করলেও তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।  


জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। অথচ তাদের ওপর হামলা হয়েছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’  


এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আহতদের খোঁজ নিয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।  


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইফতার বিতরণের সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তবে সংঘর্ষের পর থেকে হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে।  


এ ঘটনায় সাংবাদিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।