যুব উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা: সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৩ অপরাহ্ন
যুব উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা: সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যুব উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা: সংকট ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় ওয়াজেদ চৌধুরী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় যুব সমাজের মাঝে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়। 


এদিনের কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ওয়াজেদ চৌধুরী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সুলতানা মেহেরুনা জামান। কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসার জয়ন্ত কুমার দাস এবং টিভিইটি কনসালটেন্ট ও তৌহিদ এ্যাসোসিয়েটের প্রতিষ্ঠাতা মো. তৌহিদুজ্জামান।


কারিগরি শিক্ষার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ সৃষ্টি এবং এর প্রচারে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার ওপর আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, বর্তমান যুগে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় পাসকৃতরা কর্মজীবনে বেশি সুযোগ পেয়ে থাকেন। তারা কর্মসংস্থানে সাফল্য অর্জন করেন এবং বিদেশে কাজ করারও সুযোগ পায়। বিশেষ করে এসএসসি পরীক্ষার পর ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে অনেকেই ২য় শ্রেণির চাকরিতে যোগ দিতে সক্ষম হন।


কর্মশালায় জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে স্কিলস্ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। 


বক্তারা জানান, দেশের যুব সমাজকে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হলে তারা শুধু দেশের মধ্যে নয়, বরং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রেও নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হবে। কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যুবরা বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় দক্ষভাবে কাজ করতে পারবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। 


এছাড়া, যুবকদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের জন্য আরও কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে, যাতে যুব সমাজ দক্ষ হয়ে ওঠে এবং দেশের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি হয়। 


কর্মশালায় উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তরুণদের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুব উন্নয়ন এবং কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ব্যক্ত করা হয়।


এ সময় যুব সমাজের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগের বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যাতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যুব সমাজ একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।