সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল পাঠানের ছোট ভাই মোমিন পাঠান সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের সহায়তায় দুই কোটি টাকার রাস্তার কাজ হাতে নিয়েছেন। যদিও তিনি রাজনৈতিক মামলায় আত্মগোপনে আছেন, তার কর্মকাণ্ড থেমে নেই। সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ পাঠান ও তার ছোট ভাই মোমিন পাঠান রায়গঞ্জ এলজিইডি এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড় প্রকল্পগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন।
সাবেক মেয়র এবং তার ভাই ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যথাযথভাবে টেন্ডারবাজি করে কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও মোমিন পাঠান তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছেন। বর্তমানে, রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোম বাদশা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিনের সহযোগিতায় ধামাইনগর থেকে কড়িতলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করা হলে দেখা যায়, রাস্তাটির পুরানো খোয়া তুলে নতুন মিশ্রণ করে নির্মাণের কথা থাকলেও কাজটি তেমনভাবে হয়নি। ভেকু মেশিন দিয়ে পুরানো খোয়া উল্টে সামান্য নতুন খোয়া মিশিয়ে রোলারে সমান করা হয়েছে, যা সহজেই উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, রায়গঞ্জ এলজিইডির অফিসে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানাকে ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় সোহেল রানা রায়গঞ্জ থানায় এবং সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোহেল রানা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাস্তার কাজের ঠিকাদার মোমিন পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তামান্না রহমান বলেন, ফোনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান সম্ভব নয়, অফিসে এসে স্বাক্ষরিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।