প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ১২:২৫
শিশুশিল্পী হিসেবে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বলতে গেলে রেকর্ড গড়েছেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ৩০টির মতো ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে রীতিমতো জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। সেই দীঘির নায়িকা-ভাগ্য মোটেই ভালো নয় বলেই মন্তব্য তার সোশ্যাল মিডিয়ার ভক্তদের।
গত ১২ মার্চ মুক্তি পায় নায়িকা হিসেবে দীঘির প্রথম ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’। তার আগে প্রকাশ পায় এটির ট্রেলার। যেটা দেখে ব্যাপক সমালোচনায় মেতে ওঠেন দর্শক। ‘ট্রেলার তারও ভালো লাগেনি, ছবিটি চলবে না’ জাতীয় মন্তব্য করে পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর রোষের মুখে পড়েন দীঘিও। যদিও শেষ পর্যন্ত দীঘির কথাই সত্যি হয়েছে। চলেনি ‘তুমি আছো তুমি নেই’।
অর্থাৎ, অভিষেকেই ব্যর্থতার স্বাদ পেতে হলো নায়িকা দীঘিকে। এবার তার আরেক ছবি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নিয়েও শুরু হয়েছে নানান কাহিনি। গত ১৪ মার্চ ছবিটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায়। কথা ছিল, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ মুক্তি পাবে এই ছবি। কিন্তু ছাড়পত্র পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে সেই ছাড়পত্র।এর মানে হচ্ছে, আগামী ২৬ মার্চ দীঘির ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ মুক্তি পাবে কি না, সে বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। কিন্তু কী কারণে স্থগিত হলো ছবিটির ছাড়পত্র?
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ছবিটি যেহেতু জাতির জনককে নিয়ে বানানো, তাই অনেক সতর্কতার সঙ্গে ছাড়তে হবে। শুরুতে সেন্সর পেলেও বোর্ডের কয়েকজন সদস্য মনে করছেন ছবিটি আবারও দেখা প্রয়োজন। তাই আমরা পুনরায় এটি দেখব। তারপর সিদ্ধান্ত দেব। জরুরিভিত্তিতে ছবিটি বোর্ড সদস্যরা মিলে দেখবেন।’
‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’-এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। এটি প্রযোজনা করেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান। ছবিটি পরিচালনাও করেছেন তিনি। তবে ছবিটির ছাড়পত্র স্থগিত হওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।কী রয়েছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রে? এখানে তুলে ধরা হয়েছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন। এতে জাতির পিতার চরিত্রে দেখা যাবে প্রযোজক সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দীঘি। আরও আছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, জিয়াউল হাসান কিসলু ও শিবা শানু প্রমুখ।