ফরিদপুর-৩: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এ. কে. আজাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২০ অপরাহ্ন
ফরিদপুর-৩: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এ. কে. আজাদ

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।


মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ. কে. আজাদ বলেন, ফরিদপুরে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে যাতে সেখানে কিছু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি আমরা এলাকায় বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল গড়েছি। আপনারা জানেন, আমরা মাজেদা বেগম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে একটি হাসপাতাল গড়ে তুলেছি। যেখানে দরিদ্র সাধারণ মানুষরা চিকিৎসা পেতো না তারা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে।


এ. কে. আজাদ বলেন, আমরা আট থেকে দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। সেখানে কোয়ালিটি এডুকেশন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোতোয়ালি এলাকার মধ্যে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত পড়ালেখা হচ্ছে না, সেগুলোর মান উন্নয়নে কাজ করবো।


নিজের জয়ের বিষয়ে একশ শতাংশ আশাবাদী জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এর মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের যত রকমের মতবিনিময় হয়েছে, তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে একশ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া শান্তিতে মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারবে এবং কোনো প্রার্থীর প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হবে না।


এ কে আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ধারা চলেছে, তা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই তিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফরিদপুরের এই আসন থেকে নির্বাচিত হলে তিনি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারবেন।


ভবিষ্যতে নির্বাচনী এলাকার ১২টি ইউনিয়নের সব ক’টিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ কে আজাদ বলেন, আমার প্রথম অগ্রাধিকার কর্মসংস্থান। সাধারণ কোনো কর্মসংস্থান নয় বরং প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর কর্মসংস্থান।


ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এ কে আজাদ আরও বলেন, ইতোমধ্যেই ফরিদপুরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। তা ছাড়া হা-মীম ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমার লক্ষ্য, তরুণদের ট্রেনিং দিয়ে ঢাকায় নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা।