প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৫:১
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। ঢাকার শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর। তিনি জানান, এবার পরীক্ষায় গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। পাসের হারে এই বড় ধরণের পতন শিক্ষাব্যবস্থায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে জানা যায়, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। তবে পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। এর জন্য মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে SSC বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর এবং ২০২৫ লিখে পাঠাতে হবে নির্ধারিত নম্বরে।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এরপর ১৫ থেকে ২২ মে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
মোট ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় হতাশ, আবার অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষাবিদদের মতে, পাসের হার কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি, করোনা-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠনজনিত সমস্যা ও সাম্প্রতিক শিক্ষানীতির পরিবর্তন।
এদিকে, ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি বিষাদের ছবিও দেখা গেছে। আগামীতে ফলাফল মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন অভিভাবকরা।