বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং চাহিদা মেটাতে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৩০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে ডিম আমদানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়। দ্রুত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে, গত অক্টোবর মাসে দুই দফায় ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অনুমতি কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে, তবে দেশে উৎপাদন কিছুটা কম থাকায় আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ডিম আমদানির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মুক্ত দেশ থেকে আমদানি: আমদানিকৃত ডিমগুলোকে এমন দেশ থেকে আসতে হবে, যেখানে বার্ড ফ্লু বা অন্য কোনো প্রাণীজ ভাইরাস নেই।
২. প্রমাণপত্র জমা দেওয়া: প্রতিটি চালান সঙ্গে রপ্তানিকারক দেশের কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদ জমা দিতে হবে, যাতে তা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াম মুক্ত বলে প্রমাণিত হয়।
৩. পূর্বে জানানো: প্রতিটি আমদানির চালান অন্তত ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
৪. অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল: অনুমতি পাওয়ার পর সাত দিন পরপর আমদানির অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডিমের বাজারে সরবরাহ বাড়ানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তবে আমদানির শর্তগুলো ঠিকভাবে পালন করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।