রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগর থানায় জিডি করার তিনদিন পর বিভাগের আরেক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম পাল্টা জিডি করেছেন। জিডিতে তারা উভয়েই একে-অপরের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো ও ক্ষতি করার অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম নগরীর মতিহার থানায় জিডিটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি ডিজি করেছেন। অনুমতি পেলেই তদন্ত করা হবে।
এর আগে গত শনিবার (৯ নভেম্বর) নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন অধ্যাপক আলী আসগর। সেখানে বিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে করা রিট তুলে না নিলে অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম তার ক্ষতি করবেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম তার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৫ নভেম্বর অধ্যাপক আলী আসগরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দুইটি অভিযোগ দাখিল করি। একটি অভিযোগে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়া, অন্যটিতে অধ্যাপক আলী আসগরের অসৌজন্যমূলক ও অসদাচরণ প্রসঙ্গে। এই অভিযোগ প্রশাসনের কাছে দাখিলের পর ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন সম্পর্কিত একটি যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পরিবহন প্রশাসক ও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকে যাই। সেখানে অধ্যাপক আলী আসগরকে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আলী হায়দার দেখতে পান। আমাকে বললে আমিও দেখলাম। পরে কাজ শেষে বিজ্ঞান কারিগরি কারখানার দিকে রওনা দেই। আলী আসগর আমার পিছন থেকে অনুসরণ করছিলেন সেটি আমি বুঝতে পারিনি। পরে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের কোণে অধ্যাপক আলী আসগর সাহেব দৌড়ে এসে গালমন্দ করতে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত তথ্যাবলির মূলকপি তাকে দিয়ে দিতে বলে। দাখিলকৃত অভিযোগ তুলে না নিলে তার পক্ষে যা করা সম্ভব সবকিছুই করবেন বলে আমাকে ভয় দেখায়।’
তবে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, আমি জিডি করার পর সে জিডি করেছে। অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম জিডিতে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।