জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণার পরও উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে রাতে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। এদিকে আজ দুপুর ১টার মধ্যে সব আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই সময়ের পর আন্দোলনকারী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ কেউই হলে থাকতে পারবে না। প্রয়োজন হলে আবাসিক হলে পুলিশ তল্লাশি চালাবে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা 'হল ভ্যাকেন্ট' এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেছেন, আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাবো। যেহেতু হল ভ্যাকেন্ট করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংহতি সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, আমরা যে কর্মযজ্ঞে আছি তা আমরা বাস্তবায়ন করবো। আমরা দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষা করেছি, আন্দোলন করেছি। কিন্তু উপাচার্য তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে চান না। উনি বলেন, জামায়াত-শিবির ষড়যন্ত্র করছে। অথচ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বলে তারা ফেয়ার শেয়ার পায়নি, শাখা ছাত্রলীগ ১ কোটি ৬০ লাখ পেয়েছে। ছাত্রলীগ যেখানে নিজেই স্বীকার করছে যে, তারা টাকা পেয়েছে সেখানে উপাচার্যের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
তিনি বলেন, একজন উপাচার্য যদি মিথ্যাচার করে তবে সেই পদে বহাল থাকার অধিকার থাকে না। এই আন্দোলন কোনো উপাচার্য কিংবা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই উপাচার্য যদি থাকে তবে ছাত্র শিক্ষক এবং শিক্ষক শিক্ষকের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হতেই থাকবে। আমরা তাকে আর চাই না।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।