ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালনের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সাবেক এ নেতা। এ হুমকি প্রদানের ঘটনায় মামলাও দায়ের করেন তার পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ সাত জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। এ মামলায় মঙ্গলবার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের জামিন দিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, গত শনিবার রাতে লালনের ভগ্নীপতি শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেহেরপুরের গাংনী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ‘ইবি কর্মচারীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দারকে প্রধান আসামী করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ (৪ নং আসামী) এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে (৩ নং আসামী) আসামী করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল জোয়ার্দার, গাংনীর বেদবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা অনিক, সবুজ হোসেন, শৈলকূপার চরপাড়া গ্রামের ওবায়দুর রহমান। এছাড়া মামলায় আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা সূত্র।
শনিবার (২ নভেম্বর) মামলা দায়েরের পর (সোমবার) ৩ নভেম্বর জামিন পেয়েছেন মামলার প্রধান আসামি ইলিয়াস জোয়ার্দার। আজ মঙ্গলবার মামলার আরো দুই আসামী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ (৪ নং আসামী) এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব (৩ নং আসামী)কে জামিন দিয়েছে আদালত।
এ ব্যাপারে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, "এটি মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা। যে মামলা হয়েছে এটি মহামান্য আদালত আমাদের জামিনে মুক্তি দিয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই সঠিক তদন্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবে"।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগে সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, "আমার নামে যে মামলা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট। এ ঘটনার সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা"।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।