রাত পোহালেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৩রা নভেম্বর ২০১৯ ০৮:০৬ অপরাহ্ন
রাত পোহালেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল সোমবার  থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় এ, বি, সি, ডি মোট ৪টি ইউনিট যথাক্রমে ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে এবং ফলাফল আগামী ১৫ নভেম্বরর মধ্যে প্রকাশিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সূত্রে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদিন মোট চারটি শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম শিফটের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, দ্বিতীয় শিফট সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা, তৃতীয় শিফট দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৩টা এবং দিনের চতুর্থ শিফট বিকাল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠিতব্য এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগ আটটি অনুষদের অধীনে চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩৪টি বিভাগের সর্বমোট ২৩০৫ টি আসন রয়েছে। এর বিপরীতে আবেদন করেছে ৬১ হাজার ৯৪২টি এবং আসন প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী ২৭ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নানা আয়োজন সম্পন্ন করেছে। সেই সাথে পরীক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধার জন্য হল কর্তৃপক্ষ সব হল গুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তাদের সার্বিক সুবিধার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে  প্রবেশপত্র, কলম, পেন্সিল ব্যতীত কোন ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীদের ৮০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ২০ নম্বরের লিখিত নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ২৫% নম্বর কাটা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও (ভারপ্রাপ্ত) প্রক্টর অধ্যাপক ড.পরেশ চন্দ্র বম্মর্ণ বলেন, সুষ্ঠু ভর্তি পরীক্ষার লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রশ্ন ফাঁস জালিয়াতি বা এ ধরণের বিভিন্ন অরাজকতা এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও হয়েছে।  এ ছাড়া ভর্তিচ্ছুদের সার্বিক সহায়তার জন্য কাজ করছে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস গ্রুপসহ সামাজিক, সেচ্ছাসেবী  সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা।  

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব