সপ্তম দিনের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ সোমবার (০১ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় শিক্ষার্থীরা বরিশালের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে তারা কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। প্রায় ১ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস. এম ইমামুল হকের অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও স্মারকলিপিতে জাতীয় দিবসগুলো (১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ)’র মত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত না করা এবং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটুক্তি করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে ২৫ টি পয়েন্টে ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নির্দিষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে অর্থ আত্মসাত, অবৈধভাবে পদোন্নতি, নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের ওপর জরিমানাসহ বিভিন্ন অযুহাতে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর না করা, সবুজায়ন না করাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। স্মারক লিপি গ্রহন করে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে মৌখিকভাবে বিভাগীয় কমিশনার, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান করবেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত। লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনকারীরা জানান, ভিসি শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটুক্তি করেননি বলে দাবী করে বলেছেন শিক্ষার্থীদের কর্মকান্ড রাজাকার সদৃশ। তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন রাজাকার সদৃশ, রাজাকারের পক্ষের শক্তি ও রাজাকারের মধ্যে পার্থক্য কি? আমরা উপাচার্যকে প্রত্যাক্ষান করে হলে অবস্থান করছি। এরআগেও দুইবার বর্তমান ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে, তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেল সেবা, ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও আমরা আছি, ভিসির পদত্যাগ চাই। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাদের দাবীর বিষয়ে কোন সুরাহা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।