কুয়েট শিক্ষক সমিতি ঘোষণা করেছে, ভিসি অপসারণের চাপ মেনে নেবে না

বুধবার দুপুরে কুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির নেতারা এই অবস্থান জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, কিছু শিক্ষার্থী যে মিছিল করেছে, তার ভিত্তিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তাল বলে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যা বাস্তবতার প্রতিফলন নয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপাচার্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, এমনকি থুতু ছিটানো হয়েছে। একইভাবে কয়েকজন শিক্ষকের ওপরও শারীরিক ও মানসিক আঘাত এসেছে। এসব ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবিও করেন তিনি।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে কুয়েট ক্যাম্পাসে। ওই ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন এবং পরে একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।

পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সভায় ২ মে হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। ১৫ এপ্রিল দুপুরে তারা নিজেরাই হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন এবং পরে উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।

২১ এপ্রিল বিকেল থেকে তারা কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমিতি সংলাপ ও যুক্তিসম্মত সমাধানের পথেই সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়েছে।