প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সময়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন—জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। পরিবারের চারজন সদস্য একসঙ্গে আক্রমণের শিকার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটতে পারে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার জবানবন্দি ঘটনার ক্লু উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নিহতদের পরিবার নিয়ে স্থানীয়ভাবে কিছু গুঞ্জন রয়েছে যে, তারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো উচিত। কেউ অপরাধী হলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারও নেই।
তিনি আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং এ ঘটনার পেছনে যেই থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।