নোবিপ্রবিতে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে জুন ২০২২ ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
নোবিপ্রবিতে শিক্ষাক্ষেত্রে  বৈষম্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির আয়োজনে " শিক্ষাক্ষেত্রে  বৈষম্য" বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন)" বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবনের ৪র্থ তলায় আইকিউএসি রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 


নোবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খাদিজা খানম উর্মির সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এডুকেশনাল ইউনিভার্সিটি অফ হংকংয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.মিরন কুমার ভৌমিক।আরো উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির উপদেষ্টা ও শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জি এম রাকিবুল ইসলাম এবং নোবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির উপদেষ্টা ও আইআইএসের প্রভাষক মো. আতিকুজ্জামান লিংকন।


সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে  বৈষম্যের কারণ ও প্রতিকারের বিভিন্ন উপায় ও দিক তুলে ধরেন ড.মিরন কুমার ভৌমিক।তিনি বলেন,শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য প্রয়োজন  সমতা ও সাম্য নিশ্চিত করা যার জন্য প্রয়োজন তথ্যের সত্যতা যাচাই করা ও গবেষণা করা।বাংলাদেশে প্রায় ২০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী।স্কুল, কলেজের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ বাড়ে।কিন্তু প্রায় ৮০ ভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী  উচ্চশিক্ষা নিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন,সমাজে নিম্মবিত্ত মানুষের মাঝে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো, স্কুল পর্যায়ে  সুযোগ বাড়ানো, বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝেও শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।এছাড়াও ক্লাসে প্রশিক্ষিত শিক্ষক দিয়ে পাঠদান, প্যারেন্টিং সচেতনতা  ও পলিসি মেকিং, স্কুল পর্যায়ে উদ্যোগ, প্রতিযোগিতা পূর্ণ মনোভাবকে দূর করা,এক্সপার্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষাপ্রদানের উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন, সচেতনায়ন শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 


তিনি আরো বলেন, সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি সামাজিকায়ন ও ব্যক্তিগত মনোভাব বিকাশে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্র‍্যাকটিকাল এক্সপেরিয়েন্স এর সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গবেষণার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিভিন্ন আর্টিকেল, বই নিয়ে পড়াশোনা করা যার ফলে গবেষণার আইডিয়া নিয়ে ভালোভাবে জ্ঞানার্জন করা সম্ভব।পাশাপাশি গবেষকদের সাথে আইডিয়া নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।গবেষণার বিভিন্ন আর্টিকেলের বিষয়ে বিভিন্ন সাইট একাডেমিয়া,সাই হাব,রিসার্চগেট,গুগল স্কলার থেকে সহজে জানা যায়। 


জি এম রাকিবুল ইসলাম  বলেন,শিক্ষার মানোয়ন্ননে বাজেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষেত্র বিশেষে বাজেটের কম বেশি অনেক প্রভাব ফেলে।রাষ্ট্রের দায়িত্ব মেধার ভিত্তিতে বাজেট এর সুষ্ঠু বন্টন করা।এক্ষেত্রে গবেষণা গুরুত্ব অপরিসীম । গবেষণার মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করা সম্ভব।শিক্ষা মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সহায়তা করে।  পরিবর্তনশীল সমাজের মানোয়ন্ননে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের গুরুত্ব অপরিসীম।সমাজের বিনির্মানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


সেমিনারে নোবিপ্রবি রিসার্চ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।