এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এতে প্রত্যাশিত ফল না এলে তা আবার যাচাইয়ের আবেদন করতে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৪-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) ও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।
এর আগে, রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ১১ বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী।
এবার সাধারণ ৯টি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এর মধ্যে সিলেটে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন। কুমিল্লায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন। বরিশালে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিও ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৯ জন।
চট্টগ্রামে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭২০ জন। যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৭৮ জন। রাজশাহীতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৮০০ জন। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী।
২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ঢাকা বোর্ডে, আর সবচেয়ে কম সিলেট বোর্ডে।
এ বছর সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। পাস করেছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন। পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭২ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ২০২১ সালে সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ে মোট ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।