বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করা এই রাজনীতিক দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। মির্জা ফখরুলের পিতামাতা মির্জা রুহুল আমিন এবং মির্জা ফাতেমা আমিন। তার পিতা একজন সফল আইনজীবী এবং একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর মির্জা ফখরুল তার পেশাজীবন শুরু করেন। ১৯৭২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। সরকারি চাকরিতে থেকে তিনি পরিদর্শন ও আয়ব্যয় পরীক্ষণ অধিদপ্তরে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে উপ-প্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য এবং সংগঠনটির এস.এম. হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্রনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
১৯৮৬ সালে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি নিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৯২ সালে তিনি বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং কৃষকদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দুইবার ঠাকুরগাঁও থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১১ সালে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন। আওয়ামী সরকারের আমলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় একাধিকবার কারাবরণ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
৭৮ বছরে পা রাখা এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার দীর্ঘ জীবনে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে গেছেন। রোববার সকালে তিনি জানান, স্বজন, শুভানুধ্যায়ী এবং অনুসারীদের শুভেচ্ছাবার্তায় সিক্ত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।