এগিয়ে যেতে চাইলে নির্বাচনই একমাত্র পথ: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৪০ অপরাহ্ন
এগিয়ে যেতে চাইলে নির্বাচনই একমাত্র পথ: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তারেক রহমান তার বক্তৃতায় আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা।  


তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি সব সময়ই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে যদি কেউ রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না। তার মতে, এসব কর্মকাণ্ডের ফলে জাতির কল্যাণে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।  


তারেক রহমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবকিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পালিত হয়। তিনি বলেন, রাজনীতিকে শুদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তার মতে, রাজনীতির শুদ্ধতা ও স্বচ্ছতা দেশটির উন্নতির পথে অন্যতম প্রধান শর্ত।  


এ সময় তারেক রহমান বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের জন্য একটি ৩১ দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করার কথা জানান। তিনি বলেন, বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে এই কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে এবং জনগণের রায় পেলে এটি কার্যকর করা হবে।  


তারেক রহমান আরও বলেন, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে জনগণ তাদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করতে পারে। দেশের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য প্রয়োজন একটি কার্যকর, স্বচ্ছ এবং জনগণের পক্ষে কাজ করা সরকার। তিনি বিএনপির লক্ষ্য নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে তাদের পছন্দের দল হিসেবে বেছে নেবে।  


এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তারা দলের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।  


এছাড়াও, বিএনপির নেতারা তাদের দলের রাজনৈতিক অবস্থান এবং আগামী দিনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা বলেন, তাদের দল সবসময় জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে এবং এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিএনপি নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবে।  


এই সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে কখনও ভুলে যায়নি এবং ভবিষ্যতে তা রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।  


সবশেষে, বিএনপির নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামী পথচলা অব্যাহত রাখার জন্য দলের সকল সদস্যকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, জনগণের রায় পেলে আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষের জন্য একটি স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল এবং কার্যকর সরকার গঠন করা হবে।