ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন, যখন এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে তিনি পদত্যাগ করবেন, কিন্তু এ মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ে সরকার আলোচনা করছে।
অধ্যাপক তপন বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করবো, যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে।” এর আগে, তিনি শিক্ষার্থীদের বোঝান, সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌঁছানো হবে এবং যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা অবশ্য তার এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা দাবি করেছে যে রাতের মধ্যে ফল বাতিল করা হোক এবং সবাইকে অটোপাস দিতে হবে। যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তারা বোর্ড premises থেকে বের হবে না। এর পর, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
তাদের দাবি, শিক্ষা বোর্ডের ফলের গড় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ হলেও তারা অযৌক্তিকভাবে ফেল করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক ফল বাতিলসহ পুনরায় পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে। তারা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও যশোরে বিক্ষোভও করেছে।
এ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, অভিযোগ উঠেছে যে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের একাংশ দাবি করছে, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ফলের সঙ্গে সমভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে নতুন ফল প্রকাশ করা হোক। গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত এইচএসসি ফলাফলে দেখা যায়, সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, তবে ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।