বাংলাদেশিদের জন্য খুব সহসা ভারতের ভিসা চালু করবে না- প্রণয় ভার্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: রবিবার ২০শে অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশিদের জন্য খুব সহসা ভারতের ভিসা চালু করবে না- প্রণয় ভার্মা

রোববার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভারতের পর্যটক ভিসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা।


ভার্মা জানান, বর্তমানে জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের লোকবল সীমিত থাকায় এখন সাধারণ পর্যটক ভিসা চালু করা সম্ভব নয়। তবে, মেডিকেল ভিসা এবং তৃতীয় দেশের ভিসার জন্য যারা আবেদন করছেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা চাই না এই প্রক্রিয়ায় কোনো ভ্রমণকারী সমস্যায় পড়ুক। তাই যতটুকু সম্ভব জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা সরবরাহ করা হচ্ছে।”


ভারতীয় হাইকমিশনারকে প্রশ্ন করা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না। জবাবে তিনি জানান, “এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। তবে, আমাদের আলোচনা ছিল দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়।”


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা নিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।


প্রণয় ভার্মা বৈঠককে একটি নিয়মিত আলোচনা হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে দুই দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, “ভারত এবং বাংলাদেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তিতে উভয় দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা জরুরি।”


এদিকে, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক সভা নিয়ে ভার্মা জানান, “দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এফওসি (ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই।” উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সহযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই ধরনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


এই বৈঠক এবং আলোচনা আগামীতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, যা পারস্পরিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে সক্ষম হবে।