হিন্দু মহাসভার হুমকি: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র ক্রিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৯ অপরাহ্ন
হিন্দু মহাসভার হুমকি: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা

 আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। হিন্দু মহাসভা সম্প্রতি এই ম্যাচে বিশৃঙ্খলার হুমকি দিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। 


হুমকির পেছনের কারণ: হিন্দু মহাসভার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলার সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ভারতের উগ্রপন্থী এই সংগঠনটি মনে করে, ভারতের খেলা চলাকালীন যদি ভারতীয় খেলোয়াড়দের প্রতি কোনো ধরনের অবমাননা করা হয়, তবে তার তীব্র জবাব দেওয়া হবে। 


বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা সবসময় ক্রিকেটকে একটি খেলা হিসেবে দেখি, এখানে রাজনীতি বা ধর্মের কোনো স্থান নেই। হুমকির মাধ্যমে ক্রিকেটের মতো একটি শান্তিপূর্ণ খেলাকে কলুষিত করার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়।" বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং উভয় দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।


ভারতের অবস্থান: ভারতীয় কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই হুমকির বিষয়ে তারা অবগত এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ভারত সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো সরাসরি বিবৃতি দেয়নি। তবে ভারতের জনসাধারণের মধ্যেও উদ্বেগ বিরাজ করছে, কারণ হিন্দু মহাসভার মতো সংগঠনগুলোর হুমকি কেবল ক্রিকেট ম্যাচের জন্য নয়, দুই দেশের সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।


বিরোধীদের মতামত: বাংলাদেশের বিরোধীদলগুলোও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিএনপির একজন নেতা বলেন, "ভারতের মতো একটি দেশ যদি এমন উগ্রপন্থী সংগঠনের হুমকিতে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়টি আন্তরিকভাবে সমাধান করবে।" 


অতীতের ঘটনা:উল্লেখ্য, আগে থেকেই বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করত। বিশেষ করে, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর থেকেই এই উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে। উভয় দেশের সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে থাকে, যা প্রায়ই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।


আসন্ন ম্যাচের প্রস্তুতি:  আসন্ন ম্যাচকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "আমরা এই ম্যাচের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।" উভয় দেশের ক্রীড়ামোদীরা আশাবাদী যে, খেলা শেষ পর্যন্ত একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং হুমকি সত্ত্বেও ক্রীড়া জগতের সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকবে।


*