অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলোচিত ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি একটা সময় কর্মীদের বেতন বাবদ ৫ কোটি টাকা গুনতো। এখন সেটা কমে দেড় কোটি হয়েছে। নিয়মিত লোকসানে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষণা করতেও চেয়েছিলেন।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এমনটা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত জুন থেকে বেতন কমেছে অনেকের। এক সময় ২০০০ ব্যাবস্থাপনা স্টাফ এবং ১৭০০ অস্থায়ী কর্মচারী ছিল। আর রাসেল এবং তার স্ত্রী পদাধিকারবলে ৫ লাখ টাকা বেতন নিতেন।
র্যাব জানিয়েছে, কোম্পানিটি শুরু থেকেই লোকসান গুনছে। কোনো লাভই করতে পারেনি। তবে রাসেল জেনেশুনে নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেফতার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায় ট্রান্সফার’ এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হত, দায় তত বাড়ত। গ্রেফতার রাসেল জেনেশুনে এ নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।