প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এই দেশ থেকে কারো অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিত, তার বিচার হতে হবে।" তিনি আরও জানান, দেশে কোনো ব্যক্তি বা দলের অধিকার হরণ করা হবে না, তবে অপরাধীদের অবশ্যই বিচার করা উচিত।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ দেখা দিয়েছে। অনেকেই নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনা তৈরি করেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমরা বরাবরই ঐকমত্যের পক্ষে। সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মেনে চলব।" তিনি যোগ করেন, "আমাদের সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে, আমাদের দেশটাকেই বড় করতে হবে।" তিনি তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, "সব দল তাদের মতামত দিয়ে কাজ করবে, কিন্তু একে অপরের অধিকার হরণ করা হবে না।"
অধ্যাপক ইউনূসের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে, যেখানে একদিকে বিভিন্ন দল রাজনৈতিক মতবিরোধ প্রকাশ করছে, অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক ঐকমত্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তার মতে, দেশের উন্নতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সকল দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং কেউ কারো অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।
এ ধরনের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ তাদের শক্তি ধরে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা করবে। প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্য দেশব্যাপী আলোচনা ও চর্চা সৃষ্টি করেছে, যেখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই অবস্থানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।