কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে ২৩ ডিসেম্বর থেকে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলেও বিআইডব্লিউটিএ’র গাফিলতির কারণে নদী খনন বা ড্রেজিংয়ের কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। এর ফলে একদিকে নাব্যতা সংকট কাটছে না, অন্যদিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা ড্রেজিংয়ের নামে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, নদী ড্রেজিংয়ে গাফিলতি এবং নৌকার মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে এ অঞ্চলে নিয়মিত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পরিবহন চালকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, কারণ তারা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নৌকায় যাত্রী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে ফেরি চলাচল শুরু হলে জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে এর সুফল পেতে শুরু করেছিল। তবে নাব্যতা সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ফেরি চলাচল আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু নৌকা মালিকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করতে শুরু করেন।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর দেড় মাসে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা স্বাভাবিক করতে পারেনি। এর ফলে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে যে, ড্রেজিংয়ের কাজে বিআইডব্লিউটিএ যথেষ্ট মনোযোগী নয়। অপরদিকে, ফেরি বন্ধ থাকায় বিআইডব্লিউটিসি প্রতি মাসে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হচ্ছে, পাশাপাশি ফেরির ইঞ্জিনও ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এ অঞ্চলের জনগণ দাবি জানিয়েছেন যে, দ্রুত নাব্যতা সংকট নিরসন করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। তারা আশা করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের সমস্যা সমাধান হয় এবং পরিবহন খাতে ক্ষতির পরিমাণ কমে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।