বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর প্রধান কার্যালয়ে পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ দল। ৬ সদস্যের এই দলটি প্রকল্প কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
রাজউকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই দুদকের দলটি রাজউকে প্রবেশ করে এবং পূর্বাচল প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযানে তারা প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত নথি পর্যবেক্ষণ করে।
জানা গেছে, পূর্বাচল প্রকল্পে বিগত সময়ে বিতর্কিত কিছু প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য।
বিশেষত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৬ ডিসেম্বর। এর ধারাবাহিকতায় আজকের অভিযান পরিচালিত হয়।
অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, অভিযানের অংশ হিসেবে তারা প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করছেন এবং বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালানো হবে। প্লট বরাদ্দে জড়িত অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে পূর্বেও বিতর্ক উঠেছে। এবার দুদকের অভিযানে প্রকল্পের সুষ্ঠুতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।