পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে গত ১০ নভেম্বর রবিবার ভোররাতে এক হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বরকতিয়া গ্রামে মাসুম কাজী নামে এক অটোভ্যান চালকের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আগুনে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার দিন ভোরবেলা নামাজ পড়তে ওঠার পর স্থানীয়দের কাছ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শহিদুল কাজী নামে এক বাসিন্দা। তিনি জানান, “এটি দেখে আমি শকড হয়ে গিয়েছিলাম। ঘরটা পুরোপুরি পুড়ে গেছে, কিন্তু আগুন লেগেছে কিভাবে, সে বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।” অন্য এক বাসিন্দা কাওসার বলেন, "হইচই শুনে তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থলে চলে আসি। কিন্তু এসে দেখি, আগুনটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমরা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু সবকিছু পুড়ে গেছে।"
অটোভ্যান চালক মাসুম কাজী বলেন, “আমার পরিবারের সঙ্গে চাচাতো ভাইদের বিরোধ রয়েছে। তারা আমার মেয়ে বিবাহের সময়ও ঝামেলা করেছে। আমি মনে করি, তাদেরই কারসাজি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।”
ঘটনার পর ইউপি সদস্য খালেক প্যাদা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, “ঘরটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে, তবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারছি না।”
ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, "আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম, কিন্তু পথে বার্তা আসে যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে আমরা স্টেশনে ফিরে আসি।"
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এদিকে, স্থানীয়রা আশা করছেন যে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যাবে। মাসুম কাজীর পরিবার ক্ষতির জন্য কষ্ট পাচ্ছে এবং তারা সরকারের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।