ঝালকাঠির রাজাপুরে সুদ ব্যাবসায়ীর হাত থেকে রেহাই পেতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়া সহ প্রতিকার চেয়ে প্রসাশনের দৃষ্টি কামনায় সংবাদ সম্মেলন করায় মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন শুক্কুর হাওলাদার নামের এক দিনমজুর। শুক্কুর উপজেলার গালুয়া দূর্গাপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্র কনভেশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শুক্কুর এর মা সাহিদা বেগম।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৭ সালে আমার ছেলে শুকুর অভাবেব তাড়নায় গালুয়া বাজারের রফিক শরীফের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা সুদে নেয়। সেই থেকেই আমার ছেলে রফিক শরীফের সাথে সুদে টাকা নেওয়া দেওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে রফিক শরীফ দৈনিক কিস্তির সমিতি করলে আমার ছেলের কাছ থেকে ছয়শত টাকার সাদা স্টাম্প ও দুটি কার্টিজ পেপারে সই রেখে পূর্বের সুদের টাকা লোন দেখিয়ে তার সমিতির রেজিস্টার খাতায় বিভিন্ন কৌশলে স্বাক্ষর নিয়ে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে শুক্কুর’কে সর্বশান্ত করে। আমার ছেলে দশ হাজার টাকার জন্য রফিক শরীফকে প্রায় আট লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে।
কিন্তু এখনও রফিক শরীফ আমার ছেলের কাছে টাকা দাবি করে। রফিক শরীফের হাত থেকে বাঁচতে শুক্কুর গত ২ নভেম্বর পুলিশ সুপার , জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেয় এবং ৮ নভেম্বর রাজাপুরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সেই সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ দেখে ১১ নভেম্বর ঝালকাঠি থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে দুইজন লোক আমাদের বাড়িতে এসে শুক্কুর’কে খুজতে থাকে।
তারা আমার ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে আমার কাছ থেকে তার মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলে। তাদের ফোন পেয়ে বাড়িতে আসলে রফিক শরীফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চায় এবং কিছু সময় কথা বলার পর চলে যাবার সময় আমাদের কাছে ঝালকাঠি থেকে আসা বাবদ খরচ দাবি করে। আমরা টাকা না দেয়ায় তারা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে চলে যায়। তখন আমার ছেলেও দিন মজুরী কাজের জন্য আমতলা বাজারে চলে যায়।
১২ নভেম্বর সকালে লোক মারফত শুনি আমার ছেলের বিরুদ্ধে রফিক শরীফ রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রফিকের হাত থেকে বাচঁতে আমার ছেলে শুক্কুর সংবাদ সম্মেলন করায় আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে। রফিকের করা মামলার সাথে শুক্কুরের কোনো সম্পর্কই নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শুক্কুরের মা প্রশাসন সহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী করে বলেন, রফিকুলের করা প্রতারণা মামলার অন্য আসামীদের সাথেও আমার ছেলে শুক্কুরের কোন পূর্বের পরিচয় বা সম্পর্ক নেই যা তদন্ত করলেই সত্য উদঘাটন হবে। রফিকের করা মিথ্যা মামলা থেকে আমার নির্দোষ ছেলে শুক্কুরের অব্যাহতি চাই।
এ বিষয়ে রফিকুল শরীফ বলেন, শুক্কুরের সাথে আমার গাছের ব্যাবসার লেনদেন আছে। এবং ১১ নভেম্বর ঝালকাঠি থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে দুই জন প্রতারক মোল্লা শাওন ও কবির আমার কাছে শুক্কুরের নাম বলায় তার নামে মামলা করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।