পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাতার বিরুদ্ধে গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে শাশুড়িকে অমানুসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউপির চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই কলাপাড়া থানা পুলিশ গুরুতর আহতাবস্থায় ননী বেগমকে (৪০) উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে তিনি শয্যায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে যন্ত্রনাসিক্ত হয়ে কাতরাচ্ছে।
নির্যাতিতা নারীর স্বামী আবদুর রহিম ফকির জানান, তার প্রথম স্ত্রী গত তিন বছর আগে মৃত্যু বরণ করে। এর পর থেকে তার দেখভালের জন্য বাড়িতে কেউ না থাকায় ননী বেগমকে ২ বছর আগে বিয়ে করেন। তবে তার দুই কন্যা এবং জামাতারা এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এর জের ধরেই বুধবার রাতে তার মেয়ের জামাতা সাবু ও তার দুই কণ্যা শীলা এবং রিক্তা গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে।
এসময় কোন কিছু বুঝে ওঠের আগেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আমার স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় স্ত্রীকে নির্যাতনে বাধা দিলে তাকেও মারধর করে জামাতা সাবু। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আবদুর রহিম ফকির আরো জানায়, মেয়ের দুই জামাতা তার নিজ রেকর্ডীয় সম্পত্তি ভোগেও বাধা দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী ননী বেগমের অভিযোগ, কোন ধরনের অপরাধ না করলেও শুধুমাত্র স্বামীর পক্ষে কথা বলায় তার উপর এমন অমানুসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার স্বামীর কোন ছেলে সন্তান না থাকায় জোর করে সম্পত্তি ভোগ দখলে নিতে চাইছে জামাতারা।
এদিকে হাসপাতালের শয্যায় গিয়ে দেখা যায়, ননী বেগমের মুখমন্ডলসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি শরীরের যন্ত্রনায় বিছানায় শুতেও পারছেন না। এবিষয়ে জামাতা সাবু জানায়, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসীম জানায়, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।