বরিশালের উজিরপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাছের ঘের নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হেেলন জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা এলাকার সোহরাব হাওলাদারের ছেলে ও ফিড ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ও তার চাচাতো ভাই মো. ওসমান গনি সাগর (৩০)।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারের মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি পশ্চিম সাতলা ২নং ওয়ার্ডে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে ব্যবসায়ী ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কর্তন করে দেয়, এসময় মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহতদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত পৌনে ২টায় ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন এবং কয়েক ঘন্টা পর রবিবার সকালে সাগরও মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতদের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার বলেন, সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের সাথে মাছের ঘেরে নিয়ে ইদ্রিসের বিরোধ রয়েছে। গত ১৭ মার্চ গভীর রাতে ইদ্রিস হাওলাদারের মালিকানাধীন মাছের ঘের, মুরগির খামার, পানি শেচ পাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইদ্রিস হাওলাদার ও সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই আসাদ হাওলাদার সহ ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় শাহীন চেয়ারম্যানকে জেল খাটতে হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আহমেদ জানান, নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের সাথে একটি মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এই জোড়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।