নওগাঁর ধামইরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হারুনুর রশীদ বুলবুলকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কর্ণাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডলের ছেলে হারুনুর রশীদ বুলবুল গ্রামের বাড়ীতে খলিয়ানে মৃত বড় ভাই আবু হায়াত হেলালের দোয়া মাহফিলের জন্য পরিস্কারকরাকালে সামনে দিয়ে রাস্তা পার হলে ভুক্তভোগী বুলবুল প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমান মন্টুর ছেলে আল মুমিনকে একটু খলিয়ানের সাইট দিয়ে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে পশুকুড়াল দিয়ে মাখায় স্বজোরে কোপ মারে আউয়াল। এ সময় মতিয়ার রহমান মন্টু ও তার ছেলে আল মুমিন, সফিউর রহমানের ছেলে সিয়ামসহ ৪ জন বুলবুলকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
গুরুতর অবস্থায় ধামইরহাট হাসপাতালে নিলে জখমীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমী বুলবুলকে শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
জখমীর ভাই ফারুক হোসেন জানান, আমার ভাইয়ের অবস্থা না বাচাঁ, এখনও অজ্ঞান হয়ে আছেন, জানিনা কি হবে। এ বিষয়ে জখমীর বাবা আব্বাস আলী মন্ডল বাড়ী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হামলাকারী আল মুমিন ০১৭৫১ .... ১৮ এর সাথেমুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের রাস্তা দিয়ে যেতে বুলবুল বাধা দেওয়ায় বাকবিতন্ডা হয়, ধাক্কাধাক্কি হয়, সে পড়ে গিয়ে জখম হতে পারে বলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।’
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ‘ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ধামইরহাট উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম জানান, আমরা উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতির উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।