গাজীপুরের কালিয়াকৈর মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রোববার ভোররাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত ওই যুবক হরতকিতলার হোসেন আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে গ্যাসের চুলা মেরামতের কাজ করতো। গ্রেফতারকৃত যুবক দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার শংকরপুর এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগে সুত্রে জানাযায় , শনিবার বিকেলে ওই কিশোরীর নিজ বোনের বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়। ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটির চিকিৎসার নাম করে মেঝেতে জায়নামাজ বিছিয়ে বসে সুমন মিয়া। সে কৌশলে বোন ও ভগ্নিপতিকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস আনতে বাইরে পাঠিয়ে দেন।
এ সুযোগে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সুমন কবিরাজ। বোন ও ভগ্নিপতি ফিরে এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তারা দরজা খুলে দেখেন, ভেতরে ওই কিশোরী বিবস্ত্র অবস্থায় কাঁদছে। সে তার বোনকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।
এ সময় দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যায় ভন্ড কবিরাজ সুমন মিয়া। এব্যাপারে শনিবার রাতেই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোররাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।