ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, ধর্ষক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: রবিবার ২৪শে এপ্রিল ২০২২ ০৭:১০ অপরাহ্ন
ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, ধর্ষক গ্রেফতার

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নিমবাড়িয়া লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে শনিবার (২৩ এপ্রিল) ছয় বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর তাঁর লাশ বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার রাতেই জুয়েল নামে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে করে পুলিশ। রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে মান্দা উপজেলার নিমবাড়িয়া পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে জুয়েল হোসেন ( ১৮) নামে স্থানীয় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে ওই তরুণ শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।


পুলিশ সুপার বলেন, শরিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে প্রতিবেশি গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশঝাড়ে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশি আমিনুল হোসেন এর ছেলে জুয়েল হোসেন ওই বাঁশঝাড়ে বাঁশের কঞ্চি কাটছিল। খেলাধূলা করা অন্য শিশুরা বিকেল ৩টার দিকে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেও বখাটে জুয়েল ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের পাশে অবস্থিত খড়ের পালার পাশে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। 


এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে সে কান্নাকাটি শুরু করে এবং বিষয়টি বাবা-মাকে বলে দিতে চায়। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে জুয়েল শিশুটির প্যান্টের কিছু অংশ ছিড়ে তাঁর মুখে গুজে দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে। পরে বাঁশঝাড়ের ঝোপের মধ্যে বাঁশের পাতা ও কঞ্চি দিয়ে ঢেকে লুকিয়ে রাখে শিশুটির মরদেহ। শিশুটির প্যান্টের বাকি অংশ পাশের আত্রাই নদীর তীরে ফেলে দেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে মান্দা থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাতেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধী জুয়েলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রামবাসীর সামনে গ্রেপ্তার জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দেখানো মতে শিশুটির প্যান্টের ছেঁড়া অংশ আত্রাই নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

পুলিশ সুপার  আরো বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য গ্রেপ্তার তরুণকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।