প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংক প্রধান শাখার দ্বিতীয় মুখ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাজমুল হক ঝিনাইদহের কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। গতকাল সোমবার আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর নাজমুল হককে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কৃষি ব্যাংকের মাগুরা শাখার ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল হক জানান, নাজমুল মাগুরায় প্রধান শাখায় কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তার হিসাবে ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৪ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে গতকাল সোমবার রাতে নাজমুল হককে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বিভিন্ন শাখায় চাকরির সময়ে সময়ে নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সুবিধামতো সময়ে নাজমুল হক বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাৎক্ষণিক অনুসন্ধানে মাগুরা ও ঝিনাইদহ শাখা থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি এক কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো. রুবায়েৎ হাসান জানান, নাজমুল হক ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ শাখায় একই পদে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন সময়ে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ২২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তদন্ত টিম রওনা হয়েছে। নাজমুল হকের সব কর্মস্থলে অনুসন্ধান না করলে প্রকৃতভাবে কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, যেহেতু সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। তাই দুদকের পরামর্শে অভিযুক্ত নাজমুল হককে আটক করে কোর্টে পাঠানো হয়।
মামলার আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে আসামি নাজমুল হককে বিচারক বুলবুল আহমেদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ৩১ আগস্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।