পালিয়ে গেল প্রেমিক, ধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৭ই আগস্ট ২০২১ ১১:১৩ অপরাহ্ন
পালিয়ে গেল প্রেমিক, ধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

প্রেমিকের সাথে ঘুরতে এসে বখাটের ধাওয়ায় পালিয়ে গেছে প্রেমিক। আর বখাটেরা ধর্ষণ করলো প্রেমিকাকে। রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজু বৈদ্য (২৭) নামে এক যুবককে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রাজু উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দিলিপ বৈদ্যের ছেলে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের গড়েরবন্দ এলাকার কমর উদ্দিনের ছেলে জামিল আহমদের সঙ্গে ওই কিশোরীর (১৫) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জামিল আহমদ কিশোরী প্রেমিকাকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগানে ঘুরতে যায়। এসময় সিএনজি অটোরিকশা চালক সেলিম আহমদ তাদেরকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে প্রেমিক জামিল পালিয়ে যায়। পরে সিএনজি অটোরিকশা চালক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধরে রাজু বৈদ্যের কাছে নিয়ে যায়। পরে তারা অহিদাবাদ চা বাগান এলাকার নির্জন স্থানে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরী পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোনে ঘটনাটি জানালে তিনি তাকে উদ্ধার করে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।


বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ভিকটিম কিশোরীর ভাই বিয়ানীবাজার থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ এক আসামিকে উত্তর শাহবাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাদের সহায়তা করেছে।


বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান মঙ্গলবার বিকেলে জানান, কিশোরীর ভাই প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ রাজু বৈদ্য নামে এক আসামিকে বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।