অপহরনের এক মাস পর টেকনাফে গাড়িচালক মাহমুদুল করিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয়দের অনেকেই। মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন এই চালক।
১২ আগস্ট বেলা ২ টার দিকে হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়কের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কুদুংগুহা পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শীলখালী এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে। পেশায় একজন চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের অনেকেই জানান, প্রতিদিনের মতো এলাকার লোকজন সকাল থেকে পাহাড়ে কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে ওই মরদেহটি দেখতে পান তারা।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের অনেকেই পাহাড়ে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করে। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেয়া হলে বাহারছড়া ফাঁড়ীর পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে মরদেহটি উদ্ধার করে।
বাহারছড়া ফাঁড়ী পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এই পরিদর্শক আরো জানান, অপহরণের এক মাসের মধ্যে পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিলো। মুঠোফোনের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মুক্তিপণের বিষয় নিয়ে গত বুধবার পর্যন্ত ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তখন থেকে আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিলো।
স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান, ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিলেও বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য রোহিঙ্গাদের হাতে স্বামীকে খুন হতে হলো তার স্বামীকে।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন রাতে হ্নীলা থেকে ফেরার পথে হোয়াইক্যং শামলা পুর সড়কের কুদুংগুহা এলাকা থেকে সিএনজি গতি রোধ করে দুই যাত্রীকে অপহরণ করে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা পরে মিজান নামের একজনকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিলেও মাহমুদুল করিমের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা দাবি করে।
৫০ হাজার টাকা বিকাশ একাউন্টে দিতে পারলেও বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।